সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা সদরের রাজনপুর গ্রামে মায়ের লাশ নিয়ে দুদিন ধরে লুকিয়ে রেখে ঘরবন্দি হয়ে ছিলেন ছেলে-মেয়েরা। এমন অস্বাভাবিক ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ রাতেই ওই নারীর লাশ উদ্ধার করে। দুদিন ধরে লাশ ঘরবন্দি থাকায় মরদেহটি ফুলে গিয়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। পরে নিহতের আত্মীয়-স্বজন ও স্থানীয় গ্রামবাসী লাশটি দাফন করে।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলা সদরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী ছানা মিয়ার সাথে তেমন বনিবনা ছিল না স্ত্রী চল্লিশোর্ধ জেসমিন বেগমের। তাই জেসমিন বেগম এক ছেলে ও তিন মেয়েকে নিয়ে সিলেট নগরীতে বসবাস করতেন।গত ২ জানুয়ারি মারা যান ছানা মিয়া।
অসুস্থ অবস্থায় গত শনিবার নগরীর উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান জেসমিন বেগম। ওই দিন রাত ৩টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে লাশ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান ছেলেমেয়েরা। এর পর থেকেই তারা ঘরবন্দি ছিলেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সচালক টাকা চাইতে বাড়িতে গেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাফায়াত হোসেন বলেন, এ ঘটনায় মৃতের ছেলে সনি, মেয়ে সুমা, উমা ও ইমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। তারা জানায়, বাবা-চাচারা ৫ ভাই। সম্পদের জন্য চাচারা যদি মারধর করে বের করে দেন, এজন্য তারা মায়ের মৃত্যুর বিষয়টি কাউকে জানাননি। এমনকি দাফন করতে না পারায় মরদেহ ঘরে রেখে দেন।
তিনি আরও জানান, মৃতের সঙ্গে সন্তানদের ঘুমানোর বিষয়টি অস্বাভাবিক। মানসিক সমস্যায় ভোগার কারণে তারা এমনটি করেছে।
টাইমস/এসজে